ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। একই সঙ্গে তিনি নিহত হাদির পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।
গতকাল শুক্রবার জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্রের দপ্তরে আয়োজিত এক নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক। ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, তরুণ নেতা শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ড একটি গুরুতর ঘটনা। এ ঘটনায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ড অনুযায়ী দ্রুত, নিরপেক্ষ, পূর্ণাঙ্গ ও স্বচ্ছ তদন্ত পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মহাসচিব।
ডুজারিক আরও জানান, মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এ ঘটনায় সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। এ লক্ষ্যে সহিংসতা থেকে বিরত থাকা, উত্তেজনা প্রশমিত করা এবং সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের জন্য সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব।
উল্লেখ্য, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত হন শরিফ ওসমান হাদি। মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
চিকিৎসকদের পরামর্শে ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে হাদিকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর তিনি মারা যান। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় তার মরদেহ ঢাকায় আনা হয়। আজ শনিবার জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশে তাকে দাফন করা হয়েছে।
এই হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে উদ্বেগ ও শোকের আবহ তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন মহল থেকে দোষীদের দ্রুত শনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানানো হচ্ছে।