মিডিয়া হাউস, সম্পাদক ও সাংবাদিকদের ওপর সাম্প্রতিক হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে মিডিয়া ফ্রিডম কোয়ালিশন ইউরোপ। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে জারি করা এক রাষ্ট্রীয় বিবৃতিতে সংস্থাটি এসব সহিংস ঘটনাকে সাংবাদিকতার স্বাধীনতা ও জনসাধারণের তথ্য জানার অধিকারের ওপর সরাসরি আঘাত হিসেবে অভিহিত করে।
বিবৃতিতে বলা হয়, এ ধরনের হামলা একটি মুক্ত ও গণতান্ত্রিক সমাজের মৌলিক ভিত্তিকে দুর্বল করে। সাংবাদিকরা যেন ভয়ভীতি ও চাপমুক্ত পরিবেশে তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে পারেন, সে জন্য সব গণমাধ্যমকর্মীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। সরকারকে অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা নিয়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়।
মিডিয়া ফ্রিডম কোয়ালিশন আরও উল্লেখ করে, সাংবাদিকদের সুরক্ষা কেবল ব্যক্তিগত নিরাপত্তার প্রশ্ন নয়; এটি আইনের শাসন, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং একটি উন্মুক্ত ও তথ্যভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে মিঃ হাদির মৃত্যুর খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন স্থানে সহিংস পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট স্থাপনা ও কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে, যা আন্তর্জাতিক মহলে গভীর উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে।
উল্লেখ্য, মিডিয়া ফ্রিডম কোয়ালিশনের বর্তমানে ছয়টি মহাদেশের ৫১টি দেশ সদস্য। সংস্থাটির সব সদস্য রাষ্ট্রই বিশ্বব্যাপী মিডিয়া স্বাধীনতা রক্ষার অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করেছে, যার মাধ্যমে তারা নিজ নিজ দেশে ও আন্তর্জাতিক পরিসরে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রচার ও সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এদিকে, হাদির ওপর হামলার পেছনে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা চলছে। পর্যবেক্ষকদের মতে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) উপ-সভাপতি শাদিক কায়েমের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার পরিকল্পনার প্রেক্ষাপটে ঘটনাটিকে ঘিরে নানা রাজনৈতিক জল্পনা তৈরি হয়েছে। তবে এসব বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত বা আনুষ্ঠানিক তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি।