ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকখোঁ তার মেয়াদকালে চতুর্থবারের মতো চীন সফর শুরু করতে চলেছেন। জটিল ও চ্যালেঞ্জিং আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির পটভূমিতে, চীন ও ফ্রান্সকে আন্তর্জাতিক সমাজের কাছে প্রমাণ করতে হবে যে বৃহৎ শক্তিগুলোর মধ্যে সহযোগিতা কোনো শূন্য-সমষ্টির খেলা (জিরো-সাম গেম) নয়, বরং গঠনমূলক সংলাপের মাধ্যমে জয়-জয় ফলাফল অর্জনের লক্ষ্যে কাজ করে।
চীনের আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সিজিটিএন-এর একটি জরিপে দেখা গেছে, ৭৫ শতাংশ উত্তরদাতা বাহ্যিক ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যৌথ প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য চীন ও ফ্রান্সের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করার পক্ষে মত দিয়েছেন। ৭৭.৮ শতাংশ উত্তরদাতা উল্লেখ করেছেন যে, পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সমতা এবং পারস্পরিক সুবিধার ভিত্তিতে চীন ও ফ্রান্সের মধ্যে সহযোগিতা সম্প্রসারণ কেবল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিকাশের সাথেই সম্পর্কিত নয়, বরং আন্তর্জাতিক দৃশ্যপটের বিবর্তনের উপরও গভীর প্রভাব ফেলবে।
জরিপে ৮৬.৫ শতাংশ উত্তরদাতা বিশ্বাস করেন যে, চীনের উচ্চমানের উন্নয়ন এবং উচ্চ-স্তরের উন্মুক্তকরণ চীন-ইইউ সহযোগিতার জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করবে। ৮০.২ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন যে, আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি যত তীব্র এবং জটিল হবে, চীন-ইইউ সহযোগিতার গুরুত্ব তত বেশি স্পষ্ট হবে।
এই বছর চীন ও ইইউ-এর মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০তম বার্ষিকী। অভিজ্ঞতা প্রমাণ করেছে যে সংলাপ, সহযোগিতা এবং প্রকৃত বহুপাক্ষিকতা মেনে চলাই বিশ্বব্যাপী সমস্যা সমাধানের সবচেয়ে কার্যকর উপায়।
৯২ শতাংশ উত্তরদাতা বিশ্বাস করেন যে, ইউরোপীয় দেশগুলোর চীন সম্পর্কে সঠিক ধারণা স্থাপন করা উচিত এবং চীন-ইইউ সম্পর্কের পার্থক্যগুলোকে যুক্তিসঙ্গতভাবে দেখা উচিত। ৭৬.১ শতাংশ উত্তরদাতা একমত পোষণ করেছেন যে, চীন ও ইইউ-এর মধ্যে কোনো মৌলিক স্বার্থের দ্বন্দ্ব বা ভূ-রাজনৈতিক সংঘাত নেই এবং উভয় পক্ষের মধ্যে সহযোগিতা প্রতিযোগিতার চেয়ে বেশি এবং ঐক্যমত্য পার্থক্যের চেয়ে বেশি।
সূত্র: চায়না মিডিয়া গ্রুপ।