ইসি সচিব জানান, গণভোট সংযুক্ত হওয়ায় আরপিওতে অতিরিক্ত সংশোধন আনা প্রয়োজন হয়েছে। সংশোধনী প্রস্তাবগুলো বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে।
আরপিওতে যে নতুন পরিবর্তনগুলো যুক্ত হচ্ছে:
আরপিওর ২৭ নম্বর অনুচ্ছেদে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান যোগ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—
এ ছাড়া আচরণবিধিমালার বিভিন্ন ধারায় ভাষাগত ও করণিক ভুল সংশোধনের কাজও চলেছে—যেমন ৪(৩), ৬ (ক)-(ঘ), ৯(গ) এবং ২৬(৩)–এর মতো একাধিক স্থানে প্রয়োজনীয় সংশোধন যোগ হচ্ছে।
প্রচারণায় বিলবোর্ড ও মাইক ব্যবহারে নতুন সীমা যুক্ত করার প্রস্তাবও রয়েছে। বিধিমালার ১৪(খ) অনুযায়ী, একটি সংসদীয় আসনের প্রতিটি ইউনিয়ন, পৌরসভা বা মেট্রোপলিটন ওয়ার্ডে একটি বিলবোর্ড অথবা মোট ২০টি (যেটি বেশি)—এর বেশি ব্যবহার করা যাবে না। ফলে ওয়ার্ডপ্রতি এক বিলবোর্ড ব্যবহারের সুযোগ নিশ্চিত হবে। পাশাপাশি বিধি ১৭(১) সংশোধন করে প্রচারণায় মাইক ব্যবহারের সংখ্যা বাড়ানোর প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
নতুন আরপিওতে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান যোগ হয়েছে—আদালতে ঘোষিত ফেরারি আসামিরা ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন না। প্রায় দেড় দশক পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় সশস্ত্র বাহিনীকে পুনরায় যুক্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে ‘না’ ভোট ফের চালু হয়েছে এমন আসনে যেখানে একজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
এ ছাড়া সমান ভোট পাওয়া গেলে পুনরায় ভোটগ্রহণ, জোটগত নির্বাচনে হলেও প্রার্থীর ভোট দলীয় প্রতীকে পড়বে—এমন একাধিক নতুন বিধানও যুক্ত হয়েছে।
ইসি জানায়, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোট আয়োজনের লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে।