রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের জেলাগুলোর সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও নাগরিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানী ও বিভিন্ন জেলায় অগ্নিসংযোগ ও বিস্ফোরণের ঘটনার প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
বুধবার (১২ নভেম্বর) বিজিবির সদর দপ্তরের গণসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, রাজধানী ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে মোট ১৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকায় ১২ প্লাটুন, গাজীপুরে ১ প্লাটুন এবং নারায়ণগঞ্জে ১ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন রয়েছে। তিনি বলেন, “আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিজিবি মাঠে কাজ করছে।”
সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে একের পর এক বাস ও ব্যক্তিগত গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ককটেল বিস্ফোরণ এবং ঝটিকা মিছিলের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লেও, নিরাপত্তা বাহিনী বলছে—পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, “রাজধানীতে শঙ্কার কিছু নেই। একটি নিষিদ্ধ রাজনৈতিক সংগঠন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করছে। গত কয়েক দিনে ককটেল বিস্ফোরণ, যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও ঝটিকা মিছিলের সঙ্গে জড়িত ৫৫২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বেশিরভাগই রাজধানীর বাইরে থেকে এসেছে।”
তিনি আরও জানান, হামলাকারীরা হেলমেট ও মাস্ক পরে অভিযান চালাচ্ছে এবং কিছু ক্ষেত্রে অপ্রাপ্তবয়স্কদেরও ব্যবহার করা হচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে তিনি নাগরিকদের সচেতন থাকার আহ্বান জানান।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, “অপরিচিত কাউকে আশ্রয় দেবেন না। নিজের যানবাহন কাউকে দেওয়ার আগে যাচাই করুন। সন্দেহজনক কিছু মনে হলে অবিলম্বে পুলিশকে জানান। দেখা গেছে, অরক্ষিত ও কম যাত্রীবাহী বাসেই বেশি আগুন দেওয়া হচ্ছে। নাশকতা প্রতিরোধে নাগরিক সহযোগিতা এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
তিনি বিশ্বাস প্রকাশ করেন, জনগণের সহযোগিতায় যে কোনো অরাজকতা প্রতিহত করা সম্ভব হবে। “নাশকতাকারীদের প্রতিহত করবে ঢাকাবাসী”—এমন দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন ডিএমপি কমিশনার।